নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২১
হাইড্রোজেন ফুয়েলে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দেশ
চট্টগ্রামে দেশের প্রথম হাইড্রোজেন ফুয়েল প্লান্ট -ছবি সংগৃহীত
ঢাকা: আগামী বছরই দেশে হাইড্রোজেন ফুয়েলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে বিশ্বের উন্নত অনেক দেশকে পেছনে ফেলে হাইড্রোজেন ফুয়েল যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামেই নিত্য ব্যবহার্য বর্জ্য এবং পানি থেকে হাইড্রোজেন ফুয়েল উৎপাদনের গবেষণা এখন শেষ পর্যায়ে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে জাপান সরকারের সহযোগিতায় সেদেশে থেকে গত মাসেই চট্টগ্রামে আনা হয়েছে হাইড্রোজেন ফুয়েল চালিত বিশেষ গাড়ি। এই গাড়ি সামনে রেখে চলছে হাইড্রোজেন ফুয়েল উৎপাদনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ল্যাব। স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি।
হাইড্রোজেন এনার্জী বাস্তবায়ন প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. আবদুস সালাম জানান, বাংলাদেশে কোনো প্রকার জ্বালানি উৎপাদন হয় না। যদি হাইড্রোজেন উৎপাদন সম্ভব হয়, তাহলে এটা দেশে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণাগারে ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় হাইড্রোজেন ফুয়েল উৎপাদন ও গবেষণা সংক্রান্ত এই প্রকল্পের কাজ। এরই অংশ হিসাবে প্রথম পর্যায়ে নিত্যব্যবহার্য বর্জ্য থেকেই হাইড্রোজেন ফুয়েল উৎপাদন করা হচ্ছে। আগামী বছরই পানি থেকে উৎপাদন করা হবে হাইড্রোজেন ফুয়েল। সেখান থেকে উৎপাদিত ফুয়েল সরবরাহ করা হবে বিভিন্ন যানবাহনে।
হাইড্রোজেন এনার্জী বাস্তবায়ন প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহম্মদ শাহবুদ্দিন জানান, নিত্যব্যবহার্য বর্জ্য এবং পানি থেকে হাইড্রোজেন ফুয়েল তৈরি করা হবে। পরবর্তীতে সেই ফুয়েল মজুত রেখে গাড়িতে ব্যবহার করা যাবে।
সাধারণত ১ লিটার পেট্রোলে মাত্র ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার যাতায়াত করা যায়। এক্ষেত্রে ১ কেজি হাইড্রোজেন ফুয়েলে ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করা যাবে। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী নিজেই চড়ে দেখেছেন হাইড্রোজেন ফুয়েল চালিত গাড়ির কার্যকারিতা।
মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান জানান, হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন আলাদা করে ফুয়েল নেওয়া হবে। ফলে খরচ অনেক কমবে। গ্যাস, তেলের চেয়ে কমে দামে পাওয়া যাবে এটা।
বর্তমানে দেশে সিএনজি, পেট্রোল-ডিজেল-অকটেন-হাইব্রিড এবং ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে। এ সব গাড়িতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে পরিবেশ দূষণের মাত্রা ভয়াবহ। তবে হাইড্রোজেন ফুয়েল চালিত যানবাহন হবে একেবারেই পরিবেশ উপযোগী।